স্বদেশ ডেস্ক: দেশে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ভ্যাকসিন আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় টিকা আমদানির অনুমোদন দেওয়ার আগে দুপুরে এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো।
গত নভেম্বরে বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার চুক্তি করে। জানুয়ারি মাসে তার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার অনুমতি দেয় ভারত। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এ টিকা উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। সেই টিকাই বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করছে সরকার।
এদিকে ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা রপ্তানি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ কারণে দেশে টিকাটি আনা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দেয়। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেরামের সমন্বিত টিকাটি পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারতে ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা শুনেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছি। আশা করছি সেরামের সঙ্গে চুক্তি ব্যাহত হবে না। চুক্তি অনুযায়ী আমরা ভ্যাকসিন পাবো। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। আশা করছি ভারত চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবে।’
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভারতকে টিকা বাবদ টাকা পাঠানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পরে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাদেশ যথাসময়ে করোনাভাইরাসের টিকা পাবে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে জানানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি পালন করা হবে। তারা বলেছে, ভ্যাকসিনের বিষয়ে অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। কিন্তু যেহেতু একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে) আলাপ হয়েছে, তাই বাংলাদেশ প্রথম টিকা পাবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখানে কার্যকর হবে না।’
গতকাল রোববার ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনা টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি দেবে না ভারত। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’